October 24, 2024, 2:24 pm
তামান্না আক্তারঃ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটনে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে এ পর্যন্ত অপহরণকারী, সন্ত্রাসী, এজাহারনামীয় আসামী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, প্রতারকচক্র, ধর্ষণকারী, পর্ণোগ্রাফি বিস্তারকারী, চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশেষত সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর হত্যা ঘটনার দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করে র্যাব সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর বাজারের “মা জননী জুয়েলার্স” এর স্বত্বাধীকারী দিলীপ রাজবংশী নিত্যদিনের ন্যায় দোকান বন্ধ করে ২০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১ লক্ষ টাকা সঙ্গে নিয়ে তার নিকট আত্বীয় সুপদ কুমার এর মটর সাইকেল যোগে বাড়ীর উদ্দেশ্য রওনা করেন। দৌলতপুর থানাধীন চুনাবাড়ী মোড়ে পৌছাইলে আনুমানিক রাত ২০১৫ ঘটিকায় ২টি মটর সাইকেল যোগে ৪জন অজ্ঞাতনামা আসামীরা উভয়ে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তার সাথে থাকা স্বর্ণ ও নগদ টাকা ছিনিয় নিয়ে নাগরপুরগামী রাস্তা দিয়ে চলে যায়।
তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় বিল্লাল মেম্বার দৌলতপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে সংবাদটি দ্রুত ছড়িয়ে গেলে টেপরী সাকিনস্থ পাকা রাস্তার উপর লোকজন ব্যারিকেড দিলে ০১টি মোটর সাইকেল ফেলে ০২ আসামী দৌড়ে পালিয়ে যায় এবং অন্য মোটর সাইকেলে ০২ জন আসামী গাজীছাইল গ্রামের দিকে চলে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন ব্যারিকেড দিয়ে মোটর সাইকেল সহ আসামী জসিম (৩৬)’কে হাতে নাতে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। বাদী দিলীপ রাজবংশী দৌলতপুর থানায় তাদের বিরুদ্ধে ০১টি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ৬/৮৪ তারিখ ১১/১০/২০২৩। এ সংক্রান্তে দৌলতপুর থানা পুলিশ র্যাব-১ এর নিকট আসামীদের গ্রেফতারের সহায়তা কামনা করলে র্যাব-১ ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
অদ্য ২১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ রাত আনুমানিক ০০০৫ ঘটিকার সময় র্যাব-১, এর আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে যে, মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার মামলা নং ০৬/৮৪, তারিখ- ১৪/১০/২০২৩ ইং, ধারা- ৩৯৪ পেনাল কোড এর ডাকাতি মামলার ০৪ জন পলাতক আসামী গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থান করিতেছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিতিত্তে আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা এজাহারনামীয় ডাকাত দলের নেতা আসামী ১) সঞ্জয় সরকার (৪৫), পিতা- চিত্তরঞ্জন সরকার, থানা- আশুলিয়া, জেলা- ঢাকা, অন্যান্য ডাকাত সদস্য আসামী ২) মোঃ কামাল হোসেন (৩৬), পিতা- মৃত আব্দুল জলিল, থানা- বাঞ্ছারামপুর, জেলা- বি বাড়ীয়া, ৩) মোঃ ইসমাইল হোসেন (৫০), পিতা- মৃত সিদ্দিকুর রহমান, থানা- রাজবাড়ী সদর, জেলা- রাজবাড়ী, ও ৪) মোঃ শাহজাহান (৪০), পিতা- মৃত আলীম মাঝি, থানা- গলাচিপা, জেলা- পটুয়াখালী’দেরকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব এর নিকট ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। তারা আরও জানায় যে, তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য ও তাদের নিকটে থানা অস্ত্র ও অন্যান্য আগ্নেয়ান্ত্র দেখিয়ে এলাকার ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে ডাকাতি করে থাকে।
পরবর্তীতে তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায় ডাকাত সঞ্জয় সরকার(৪৫) এর বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় ০১টি করে অস্ত্র ও ০১ টি ডাকাতি মামলা, ডাকাত মোঃ কামাল হোসেন(৩৬) এর বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় ০১টি করে অস্ত্র ও ডাকাতি মামলা এবং ডাকাত মোঃ ইসমাইল হোসেন (৫০)’এর বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহআলী থানায় ০১টি ডাকাতি মামলা, কাফরুল থানা ও সাতক্ষীরা সদর থানায় ০১টি করে মাদক মামলা, যাত্রাবাড়ী থানায় ০১টি অস্ত্র মামলা রুজু আছে।গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।